বাংলা হেডলাইনস গাজীপুর : গাজীপুরে এক কলেজ ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
এ ঘটনায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ জিএমপির সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর আনন্দ ও রানা নামের দুজন গ্রেপ্তার হলেও মূল আসামী নাঈম এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান করার পরও এই গণধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ভিকটিম ও তার পরিবারের লোকজন জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে এইচএসসি পড়ুয়া ভিকটিমকে তার এক বন্ধু নাঈম জয়দেবপুরের বাসা থেকে ফোন করে ডেকে নেয়।
বাসা থেকে বের হওয়ার পর তাকে একটি অটোরিক্সায় প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে শিমুলতলী এলাকায় নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে নাঈমসহ তিন জনকে দেখতে পায় ভিকটিম। সেখানে জঙ্গলের পাশে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে জোর করে তিনজনে মিলে দল বেঁধে ধর্ষণ করে।
এদের হোতা নাঈম মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে দুবার। ধর্ষণে বাধা দিলে এ সময় তাকে শারীরিকভাবেও জখম করা হয়।
পরে ধর্ষণকারীরা ছাত্রীটিকে নানা ধরণের হুমকি দিয়ে অটোস্ট্যান্ডের কাছে রেখে দ্রুত সটকে পড়ার পর তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পরে স্বজনদের কাছে তুলে দেয়।
বৃহস্পতিবার রাত এগারোটার দিকে তাকে নেয়া হয় শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরীক্ষা পর্যন্ত সেখানেই ভর্তি রয়েছে ভিকটিম। ভিকটিমের বাবা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আর তার মা একটি ব্যাংকের পরিচ্ছন্নতা কর্মী।
জেলা শহরের একটি বেসরকারি কলেজে পড়ুয়া ভিকটিমের সঙ্গে ধর্ষণকারীদের হোতা নাঈমেল পরিচয় হয় একই সঙ্গে লেখা পড়ার সুবাদে।
জিএমপির ডিসি (ডিবি) মো. জাকির হাসান জানান, এ ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে আনন্দ ও রানাকে সদর থানা ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গাজীপুর ও ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান আসামি নাঈমকে গ্রেপ্তারের জোর তৎপরতা চলছে।
তিনি আশা করছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। অন্যদিকে ভিকটিম বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে হাসপাতাল রয়েছে ।