বাংলা হেডলাইনস রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি: রাঙ্গামাটির বন্দুকভাঙ্গায় সারা বিশ্বে শান্তি ও মঙ্গল প্রার্থনায় সার্বজনীন ২২তম মহাসংঘদান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) সকালে রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে বন্দুক ভাঙ্গা ইউনিয়নে বসবাসরত এলাকাবাসী ও বন্দুকভাঙ্গা মহাসংঘদান সার্বজনীন পরিচালনা কমিটি উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন ধর্মীয় কর্মসূচি।
ধর্মীয় কর্মসূচির মধ্য বুদ্ধমূর্তিদান, সংঘদান, অষ্টপরিস্কার দান, হাজার বাতি দান, পঞ্চশীল প্রার্থনা, উৎসর্গ ও পিন্ডদানসহ নানাবিধ দান করা হয়। পূণ্যার্থীদের ভক্তি ও শ্রদ্ধায় বনভান্তের প্রতিবিম্বে ফুলের তোড়া নিবেদন মাধ্যমে স্মরণ করা হয়েছে বৌদ্ধদের মহাসাধক সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তেকে।
পরে ভিক্ষুসংঘকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন পূণ্যার্থীরা। সারা বিশ্বের শান্তি ও মঙ্গল প্রার্থনায় বিশেষ প্রার্থনা পাঠ ও ৫মিনিট নীরবতা শ্রবণ (ভাবনা) করা হয়।
এসময় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, চাকমা রাজ পরিবারের সদস্য চাঁদ রায়।
আরো বক্তব্য রাখেন, ৫ নম্বর বন্দুক ভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বন্দুক ভাঙ্গা মহা সংঘদান সার্বজনীন পরিচালনা কমিটির সভাপতি অমর চাকমা।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বন্দুক ভাঙা সার্বজনীন মহাসংঘদান কমিটির সাধারণ সম্পাদক উদয়ন চাকমা। পঞ্চশীল পাঠ করেন সিদ্ধার্থ চাকমা।
অন্যান্যদের মধ্যে ৫ নম্বর বন্দুক ভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অর্শ্বিনী কুমার চাকমা ও সাবেক চেয়ারম্যান বরুন কান্তি চাকমাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান অমর চাকমা বলেন ‘প্রতিবছর বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নে বসবাসরত সকল পেশা শ্রেণির মানুষ রাজবন বিহারে সমবেত হয় এ উদ্যোগ নেওয়ার ফলে। যার কারণে প্রতিবছর চেষ্টা করা হয় এ অনুষ্ঠানটির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে। শুধু পুণ্যানুষ্ঠান নয়। এ অনুষ্ঠানটি বন্দুকভাঙ্গা এলাকাবাসীদের এক ধরনের মিলন মেলাও বটে।’
বনভান্তের অমৃতময় বাণীর উদ্ধৃতি দিয়ে ধর্মদেশনা দেন রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে বিহার অধ্যক্ষ ও ভিক্ষু সংঘের প্রধান ভদন্ত শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির, রাজবন বিহারের সিনিয়র ভিক্ষু ভদন্ত সমুন মহাস্থবির ও জ্ঞানপ্রিয় মহাস্থবিরসহ প্রমুখ ভিক্ষু।