বাংলা হেডলাইনস বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের (শজিমেক) শেষ বর্ষের ছাত্র মেহেরাজ হোসেন ফাহিমের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানসহ ছয় দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা রোববার বিকালে প্রতিষ্ঠানের সামনে প্রায় দেড় ঘন্টায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন।
এর আগে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ প্রশাসন ২৪ ঘন্টার মধ্যে দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা ক্যাম্পাসে ফিরে যান।
অবরোধ চলাকালে মহাসড়কে উভয়পাশে বেশ কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে যানবাহনের শ্রমিক ও যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
রোববার বিকাল ৪টা থেকে মহাসড়ক অবরোধ চলাকালে অন্যান্যের মধ্যে শিক্ষার্থী শৈশব রায়, অর্ঘ রায়, অর্ণব আকন্দ, আনোয়ারুল আজিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
তাদের ছয়দফা দাবিগুলো হলো: আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালের ২নং গেট সংলগ্ন সকল অবৈধ দোকান উচ্ছেদ, দোকানীদের ট্রেন লাইসেন্স চেকসহ পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে ব্যবসার অনুমতি, ক্যাম্পাসের ২নং গেট সংলগ্ন নতুন রাস্তার মোড়, ছাত্রী হোস্টেলের সামনে, ফিরিঙ্গির মোড়, ভার্সেটাইল মোড়ে সিসিটিভি স্থাপন, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ও প্রবেশমুখে ২৪ ঘন্টা আনসার মোতায়েন, নতুন রাস্তার মোড়ে সার্বক্ষণিক পুলিশি টহল, অন্ধকার পয়েন্ট আলোকিত এবং দ্রুত ফাহিমের হত্যাকারীদের দ্রুত ও সর্বোচ্চ শান্তি নিশ্চিত করা।
তারা আরো বলেন, দাবিগুলো অবিলম্বে পূরণ করা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করা হবে।
খবর পেয়ে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম, সদর থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বাবু কুমার বিশ্বাস প্রমুখ
কর্মকর্তা এবং শজিমেক হাসপাতালের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. রেজাউল আলম জুয়েলসহ হাসপাতালের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা সেখানে আসেন।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ফাহিম হত্যা মামলায় গ্রেফতার আসামিরা জেলে আছেন।
কলেজ প্রশাসনের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। আশ্বাসের প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে অবরোধ তুলে নেন।
বগুড়া সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বাবু কুমার বিশ্বাস জানান, ভাজাপোড়া দোকানীর ছুরিকাঘাতে শজিমেকের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহিম ১১দিন পর রোববার সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। এর প্রতিবাদে ও বিভিন্ন দাবি পূরণের জন্য শিক্ষার্থীরা প্রায় পৌণে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন।