বাংলা হেডলাইনস সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুফলভোগী এক তরুণীর (১৮) ঘর থেকে গভীর রাতে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মজনু মিয়াকে আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আনসার সদস্য পাঠিয়ে রাত ২টার দিকে তাকে উদ্ধার করেন।
খাসকাউলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম গণি মোল্লা জানান, উক্ত মজনু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে চৌহালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আগে থেকেই তার স্বভাব-চরিত্রে ত্রুটি রয়েছে। তিনি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেয়ার নামে সুফলভোগী পরিবারের প্রায় অর্ধশতাধিক তরুণী ও নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক তৈরি করেছেন। উপজেলার খাস কাউলিয়া ইউনিয়নের কুরকী গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের এক তরুণীর ঘরে গিয়ে মঙ্গলবার (৩০ মে) গভীররাতে জনতার হাতে আটক হয় পিআইও।
এ ঘটনার পর স্থানীয় মাতব্বররা টাকা নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়েছেন। এমনকি ওই তরুণীকে টাকা দেয়ার কারণে সেও কোন অভিযোগ করছে না। এ নিয়ে চৌহালী জুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উক্ত কুরকী আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের সময় পিআইও মজনু মিয়ার সঙ্গে হতদরিদ্র একটি পরিবারের সদস্যদের পরিচয় হয়। আশ্রয়ণের ঘর দেয়ার কথা বলে ওই বাড়ির এক তরুণীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং ওই বাড়িতে মাঝে মধ্যেই যাতায়াত করতেন। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরও বরাদ্দ পায় পরিবারটি। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ওই তরুণীর ঘরে মজনু মিয়া প্রবেশ করার কিছুক্ষণ পর স্থানীয় জনগণ তাকে আটক করে। এরপর পিআইও মজনু মিয়া ইউএনওকে ফোন দেয়ার পর আনসার সদস্য পাঠিয়ে রাত ২টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার গভীররাতে আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় কিছু উত্তেজিত জনতা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সঙ্গে বিবাদের খবর পেয়ে আনসার সদস্যদের পাঠিয়ে তাকে সেখান থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেননি বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ বিষয়ে কথা বলতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মজনু মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে এ ব্যাপারে লিখিত বা মৌখিক কোন অভিযোগ করা হয়নি বলে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো: আক্তারুজ্জামান জানিয়েছেন।