বাংলা হেডলাইনস সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের যমুনার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে মৌসূমী রোপা আমন ধান কাটার পর সেই জমিতে ভুট্টা চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকরা।
বিশেষ করে খরচ-পরিশ্রম কম ও বেশি লাভজনক হওয়ায় এই ভুট্টা চাষাবাদে কৃষকেরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এবার জেলার ৯টি উপজেলায় ১৪ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যমুনার চরাঞ্চলসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষকরা গত মাসের শেষ দিক থেকে এ চাষাবাদ শুরু করেছে। বিশেষ করে জেলার তাড়াশ, উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলাসহ চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে বেশি চাষাবাদ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৬ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে এ ভুট্টা রোপণ করা হয়েছে। আগামী মাসের প্রথম সাপ্তাহের দিকে এ রোপণ শেষ হবে। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধান কাটার পর বেশির ভাগ জমিতে আবার ভুট্টা চাষাবাদ করা হচ্ছে। বিশেষ করে ভুট্রা চাষে পরিশ্রম ও খরচ কম হওয়ায় কৃষকেরা এ চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে। অনেক স্থানে জমিতে রশি টানিয়ে সারিবদ্ধভাবে উন্নতজাতের এই ভুট্টা বীজ লাগানো হয়েছে ও হচ্ছে। ধানের চেয়ে ভুট্টার ফলন ভাল এবং ধানের মুল্যের চেয়ে ভুট্টার বাজারও ভালো। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা জমি থেকে ৩৫/৪০ মন ভুট্টা উৎপাদন হয়ে থাকে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে সঠিক পরিচর্যায় মাত্র ৪ মাসেই জমি থেকে এ ভুট্টা উত্তোলন করা যাবে। নির্ধারিত সময়ে সোনালি রংঙের ভুট্টা গাছ থেকে এ ফসল সংগ্রহ করা হয়। সেইসাথে ভুট্টা সংগ্রহের পর ওই শুকনা ভুট্টা গাছও জ্বালানি হিসেবে বিক্রি করা হয়। এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আহসান শহীদ সরকার বলেন, যমুনার চরাঞ্চলসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে এবার স্বল্প খরচে এ ভুট্টা চাষাবাদ শুরু করা হয়েছে।
এ চাষাবাদে উৎসাহিত করার জন্য ইতিমধ্যেই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ভুট্টার বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এ চাষাবাদে তাদেরকে স্থানীয় কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।