বাংলা হেডলাইনস গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরে প্রেম করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার পর বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায়ম মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে আমরণ অনশনে বসেছে এক স্কুলছাত্রী।
প্রেমিক শিশির বিশ্বাস কিশোরীর মনের বিশ্বাসে পানি ঢেলে পালিয়েছে বাড়ি ছেড়ে। ঘটনাটি গাজীপুর মহানগরের বিপ্রবর্থা এলাকায়।
অনশনকারী নগরের মিরেরগাঁও এলাকার শিক্ষার্থী জানায়, তিন বছর আগে থেকে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থীর সাথে পাশের বিপ্রবর্থা এলাকার শিশির বিশ্বাসের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায় বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে একাধিকবার তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় দুমাস আগে শিশিরকে ওই স্কুল শিক্ষার্থী বিয়ে করার জন্য প্রেমিক কলেজছাত্রকে চাপ দেয়। এতে প্রেমিক কলেজছাত্র বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করার চেষ্টা করে।
শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি উল্লেখ করে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে মাসখানেক আগে এর সুরাহা দাবি করে কিশোরীর বাবা। এর কোনো প্রতিকার না পেয়ে নিরুপায় হয়ে ওই কিশোরী তার প্রেমিক শিশির এর বাড়িতে গিয়ে ঘরের সামনে আমরণ অনশনে বসেছে। বসে থেকে ঘন্টাখানেক পর তার ব্যাগ থেকে বিশের শিশি বের করে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
এসময় উপস্থিত লোকজন তার হাত থেকে বিষের শিশি কেড়ে নেয়। এ সময় কিশোরী জানায়, বাঁচতে হলে সে এই বাড়িতেই বাঁচবে, আর মরতে হলেও এই বাড়িতেই মরবে। কিছুতেই সে বাড়ি ছেড়ে যাবে না।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত কলেজছাত্র শিশির বিশ্বাসের মা জানান, এইসব ঘটনাকে ঘিরে তার ছেলেকে বকাঝকা করায় গত দু-তিন দিন ধরে বাড়িতে নেই শিশির। তার জানামতে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে কোন ধরনের শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে নি। এছাড়া শিশির ঐ মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি নয়। তারপরও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রশাসনিকভাবে যে ধরণের ফয়সালা হবে সেটা হয়তো পারিবারিকভাবে মেনে নিতে হয়তো বাধ্য হবেন। তবে শুধু মেয়ে একতরফাভাবে দাবি করলেই সেটা যৌক্তিক নয়।
এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসএম ফারুক আহমেদ জানান, ঘটনাটি এইমাত্র জানলাম। এ বিষয়ে ছেলে ও মেয়ের অভিভাকের সঙ্গে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সুরাহা করার চেষ্টা করা হবে।