বাংলা হেডলাইনস বগুড়া: করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় গত ২৪ মার্চের পর অধিকাংশ মানুষ ঘরে রয়েছেন। এ সময় রাস্তায় থাকা মানুষগুলো বেশি বিপদে পড়েছেন। একদিন ঘরে থাকলে অনেকের খাবার জোটে না।
এ অবস্থায় বগুড়া ও গাইবান্ধা শহরে প্রতিদিন ২৫০ জন দুস্থকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে হাজির হয়েছেন, দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ।
দুদক কর্মকর্তা ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ জানান, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর থেকে অফিস, আদালত, দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় রাস্তার ভিক্ষুক থেকে শুরু করে দিনমজুর, রিকশা চালকসহ খেটে খাওয়া মানুষগুলো অসহায় হয়ে পড়েন।
যা দেখে তার ভেতরটা ব্যাপকভাবে নাড়া দেন। তিনি অনুভব করেন, ক্ষুধার জ্বালায় পৃথিবী যদি মানবশূন্য হয়ে পড়ে তাহলে নিজের বেঁচে থেকে লাভ কী? এরপর তিনি এসব অসহায় মানুষকে নিজ উদ্যোগে খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।
গত ১৯ এপ্রিল থেকে নিজের টাকায় বগুড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে থাকা ১০০ অসহায় মানুষকে একবেলা রান্না করা প্যাকেট খাবার তুলে দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে একে একে বিত্তবানরা এগিয়ে আসতে শুরু করেন।
দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য ব্যক্তি এ মহতি উদ্যোগ চালিয়ে যাবার জন্য আর্থিক সহযোগিতা দিতে শুরু করেন। তাদের সহায়তা বর্তমানে তিনি প্রতিদিন গাইবান্ধা ও বগুড়া জেলার ২৫০ জন অসহায় মানুষের হাতে ইফতারের প্যাকেট তুলে দিচ্ছেন।
এভাবে গত ২৮ দিন ধরে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে দুই জেলার অলিতে গলিতে খুঁজে খুঁজে দুস্থ অসহায় মানুষকে খাবার দিচ্ছেন।
দুদক কর্মকর্তা জানান, এ সময় প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষকে একবেলা খাবার কর্মসূচির আওতায় এনেছেন। তার এই কাজে আলপনা, বিনয়, মুক্ত, নিশাত, লেলিন ও সিয়াম নামে ছয়জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়মিত কাজ করছেন। বর্তমানে তিনি বগুড়া শহরে এবং স্বেচ্ছাসেবীরা গাইবান্ধায় খাবার বিতরণ করছেন।