বাংলা হেডলাইনস সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র তোলার আগেই ১০ হাজার টাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের কাছে দলীয় তথ্য প্রদান ফরম বিক্রির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ অক্টোবর তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই উল্লাপাড়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে এই ফরম বিক্রি শুরু করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের ১০ হাজার টাকায় বাধ্যতামূলকের এই ফরম কিনেছেন। তাদের মধ্যে একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দলের গঠনতন্ত্রে আছে কিনা তা জানা নেই, তবে বাধ্যতামূলকের এই ফরম বিক্রি দেশের অন্য কোথাও হয়েছে বলে শুনতে পাইনি।
কিন্তু উল্লাপাড়ায় ১০ হাজার টাকা না দিলে কাউকে ফরম দেয়া তো হচ্ছেই না আবার ফরম না কিনলে প্রার্থী তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হবে না বলেও হুমকি দিচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা। এমন হুমকির কারণে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ফরম কিনছেন একরকম বাধ্য হয়েই।
ইতিমধ্যেই পঞ্চক্রোশী ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম ফিরোজ, বড় পাঙ্গাসী ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক ও হাটিকুমরুল ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী আরিফ তালুকদার ১০ হাজার টাকায় ফরম কেনার কথা সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
তারা আরো বলেন, কেন্দ্রে প্রার্থীদের তালিকা পাঠানোর কথা বলে উপজেলা আওয়ামী লীগের নামে এই ফরম বিক্রি করা হচ্ছে। সেইসাথে খরচের জন্য কিছু টাকাও নেয়া হচ্ছে।
তবে নিয়ম বর্হিভুত ভাবেই ১০ হাজার টাকার এই ফরম প্রার্থীদের বাধ্য হয়েই কিনতে হচ্ছে।
অবশ্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ফরম বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, দলের ফান্ড গঠন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের দুঃস্থ্ কর্মীদের সাহায্য ছাড়াও ঢাকায় যাতায়াতসহ অন্যান্য খরচের জন্যও টাকার দরকার হয়। টাকা না নেয়া হলে খরচের টাকাগুলো কোথায় পাব।
তাই প্রার্থীদের কাছে ফরম বিক্রি করে টাকা নেওয়া হচ্ছে। তবে দলীয় ফরম ১০ হাজার টাকায় বিক্রির কোনো নিয়ম আছে কিনা এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তোর দেননি তিনি।
তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়সাল কাদির রুমি ফরম বিক্রির ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কেএম হোসেন আলী হাসান বলেন, ফরম তৈরিসহ দলীয় বিভিন্ন কাজে ও ঢাকায় যাতায়াত খরচের জন্য টাকার প্রয়োজন হয়। তবে তা নির্ধারিত ১০ হাজার টাকায় সীমাবদ্ধ না রেখে নিজ দলের ও বহিরাগত দেখে নির্ধারণ করে আদায় করা উচিৎ। তাছাড়া জামায়াত-বিএনপি থেকে অনুপ্রবেশকারীরাই দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই সাংবাদিকদের কাছে এসব প্রচার করছে বলে তিনি দাবি করেন।