বাংলা হেড লাইনস বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুইপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার সকালে শহরে টেম্পল রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।
সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বাবু কুমার সাহা জানান, হাতাহাতি নয়; উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজীব সাহা জানান, কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ায় যুবলীগের একাংশের সাথে তাদের সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে তারা তালা ভেঙে ছাত্রলীগ কার্যালয়ে প্রবেশ করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালনে শুক্রবার সকালে শহরের টেম্পল রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। নেতাকর্মীরা জাতীয় ও নিজ নিজ দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
এরপর জেলা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিভিন্ন শ্লোগান দেন। তখন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়ের সমর্থকরা পাল্টা শ্লোগান দেন। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পরে জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে খোকন পার্কে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যান।
এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবর রহমান মজনু ও সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপুর নেতৃত্বে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে যান। এ সময় দু’পক্ষে মিছিল ও পাল্টা মিছিলে পুরো এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়।
এদিকে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শেষে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তালা ভেঙে ৩৯ দিন পর টেম্পল রোডের জেলা ছাত্রলীগ কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ নেন, সভাপতি সজীব ও সাধারণ সম্পাদক জয় এবং তাদের অনুসারিরা।
পদবঞ্চিতরা গত ৭ নভেম্বর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পর দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন।
বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা জানান, তাদের কর্মসূচিতে জেলা যুবলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা বাধা দিয়েছেন। ফলে তাদের সাথে আমাদের নেতাকর্মীদের সামান্য হাতাহাতি হয়। তবে তারা উপস্থিত থাকতে পদবঞ্চিতদের সাথে তাদের কিছু হয়নি। এ ব্যাপারে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বগুড়া সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বাবু কুমার সাহা জানান, ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলেও কোন হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি।
এছাড়া এ ব্যাপারে কেউ থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি।