বাংলা হেডলাইনস রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি: কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিপাতের কারণে উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের আবারও বেড়েছে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদের পানি উচ্চতা।
এতে হ্রদের পানির স্তর বিপদসীমায় কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ায় বাঁধের ১৬টি গেইট দুই ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে।
এখন প্রতি সেকেন্ডে ৩৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলীতে নির্গত হচ্ছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর থেকে ১৬টি গেইট দুই ফুট করে খুলে দেওয়া হয়। এর আগে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পিলওয়ের ১৬টি গেইট ১ ফুট করে খুলে দিয়ে সেকেন্ডে ১৮ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হচ্ছিলো। কাপ্তাই হ্রদের পানি
এখনো বিপদসীমার মধ্যে থাকায় এবং পানি না কমার কারণে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি গেইট দুই ফুট করে খুলে দেওয়া হয়।
বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর আছে ১০৮ দশমিক ৮২ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। হ্রদের সর্বোচ্চ পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। এর আগে শুক্রবার (৩০ আগষ্ট) জলকপাট এক ফুট খোলা থাকলেও রাতেই পানি বেড়ে যায়।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আবদুজ্জাহের জানান, বৃষ্টিপাতের কারণে হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় দুই ফুট করে গেইট খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে ৩৯ হাজার কিউসেক। পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট চালু রেখে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এতে ছাড়া হচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি। তবে পানি ছাড়লেও ভাটি অঞ্চলের কোন ক্ষতি হবে না। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ছাড়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে হ্রদের পানির স্তর আবারও বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে আছেন হ্রদের নিম্নাঞ্চলের মানুষ। প্রায় ১৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন সূত্র।
উল্লেখ্য, গত ২৪ আগষ্ট বিকেল ৩টায় কর্ণফুলী বিদ্যুৎ কেন্দ্র একটি জরুরী নোটিশের মাধ্যমে পানি ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলো। ওইদিন রাত ১০টায় পানি ছাড়ার কথা থাকলেও পর্যবেক্ষণ করার পর সময় পরিবর্তন করে ২৫ আগস্ট সকাল ৮টা ১০মিনিট থেকে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি গেইট ৪ ইঞ্চি করে খুলে দেয়া হয়। এজন্য ভাটি অঞ্চলকে আগে জরুরি সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিলো।